সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

Contribute for Srot....

জীবনে একটা Rewind Button থাকলে ভালো হতো। ইশ, যদি এমন হত...অমন হতো। কতো কি!
ছেলেটা মেয়েটার হাত ধরতে চাইলো, খুব বেশিদিনের পরিচয় ওদের না। জানেন, ছেলেরা আসলেই যে মেয়েকে ভালোবাসে, তাকে বিনিময়ে সম্মান দেয়। জোর-জবরদস্তি করেনা। কোনো ছেলে যদি আপনাকে বলে যে, "জান...তুমি যদি আমার হাত না ধরো, আমি ১০ তলা থেকে ফাল দিবো। তুমি হাত না ধরলে আমি খাইতে পারিনা। ..." আরও dangerous কি জানেন, যদি বলে...তুমি না ছুইলে আমার হাগানি আসেনা। :v এদের থেকে সাবধান। pk মুভিতে দেখছেন না,Wrong Number??
দয়া করে পড়ে দেখবেন, এই লাইনটা সবসময় কাজে আসেনা। কতজন আসলেই পড়ে কে জানে!!! #daisy.org এটা কি জানেন?
ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য যাদেরকে আমরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নামেও জেনে থাকি, তাদের জন্যই এইখানে একটি ‪#‎অ্যাপ‬ আছে। Text to speech method ইউজ করেই করা। অবাক করা জিনিস কি জানেন?? এই সব কিছুর কর্তা যে, তিনি হলেন ‪#‎ভাস্কর_স্যার‬; উনি নিজেই একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি (বুঝার জন্য প্রতিবন্ধি বলা)। তার এই প্রজেক্টের জন্য জাতীয় ও আন্তরজাতিক বহু সম্মাননা পেয়েছেন। যারা ট্রেনিং দিচ্ছেন, কাজ করছেন বেশিরভাগই কোনো না কোনো ভাবে অক্ষম। কিন্তু তারা তাদের সক্ষমতাকেই বানিয়েছে ঢাল। আলহামদুলিল্লমাহ... :) বর্তমানে তিনি hand sign recognition নিয়ে কাজ করছেন। আপনারা চাইলে তাকে সহযোগিতা করতে পারেন। স্যার ‪#‎Bangla_Accessibility_Dictionary‬ নিয়েও কাজ করবেন, যেটা হবে একটি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সহজ!
পিয়াল ভাইয়া, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধি যে নিজ যোগটার প্রমান রাখছেন আইন বিভাগে। তার নিজ শিক্ষকের মুখে কথা গুলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। recently, উনি ভারতের পুনেতে গিয়ে ৯৩ টি দেশের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে 2nd best হয়ছেন। উনি নিজেদের ক্লাসে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন দিয়ে চমকে দেন তার অসাধারণ যুক্তিতর্কের দ্বারা।
আইন বিভাগে শুধু এই প্রতিবন্ধি স্টুডেন্টদের জন্যই টিচাররা এক্সট্রা ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দেন। শুধু এই বিভাগ কিংবা এই বিষয়ই কেন উনাদের অক্ষমতাকে শক্তি হিসেবে দেখবে? আমরা কি সব সেক্টরে তাদের জন্য সহনশীল করে দিতে পারিনা? ‪#‎চুয়েট‬ তাদের সহযোগিতার জন্য কাজ করবে বলে জানতে পেরেছি। তাহলে, আমরা কেন নয়?? ‪#‎কৌশিক_দেব‬ স্যারের এমন মনোভাব দেখে অবাক ও খুশিও লাগছিলো।
এমন অনেক স্টুডেন্ট আছেন! যাদের আপনাদের সহনশীল মনোভাবের প্রয়োজন। ‪#‎রাশেদ‬ ভাইয়া চোখে দেখতে পারেন না, তাও তা তাকে দমাতে পারেনি। তিনি জাপানে যাচ্ছেন Asia Pacific থেকে।
আমরা ‪#‎sust‬ এর ‪#‎মঙ্গলদীপ‬ আর ‪#‎buet‬ এর ‪#‎TTS‬(Text to speech conversion, abbreviated as TTS, is an artificial voice tool for text documents that converts written text into synthesized sounds.) এর ছোটো ছোটো কাজ থেকে অনুপ্রেরনা নিতে পারি।
‪#‎Srot‬ is a volunteers' organization working for visually impaired or differently able people. এইসব মানুষদের কাজে যতোটুকু সম্ভব তার জন্য স্রোতের সদস্য এবং ভলান্টিয়াররা কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ কি Contribute করবেন? এই মঙ্গল কাজে???? Anyone....? Link-https://www.facebook.com/events/1573448619621467/?ref=1&action_history=%5B%7B%22surface%22%3A%22permalink%22%2C%22mechanism%22%3A%22surface%22%2C%22extra_data%22%3A%5B%5D%7D%5D
২৫০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিয়ে ইফতারে অংশ নিতে পারেন!ইফতারে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করুন এই লিঙ্কে ।
http://goo.gl/form/YxnQ9gg3b0



আমরা নিজেদের শিক্ষা অবস্থা কেন অন্য প্রগতিশীল দেশের মতন করতে পারি না?? ভারত তার অনন্য উদাহরণ। (2nd part এ বিস্তারিত লিখবো)।

ফেসবুকে ঢুকেই দেখলাম...তারপর আমি ফিক করে হেসে দিলাম, এই বয়সেও?? সম্মান করেন ভাই। যারে পছন্দ করসে, বিয়া করে সব করসে রীতি মেনে। তুলে নে নাই , বাঙলা মুভির মতন।(y)
এক মাদ্রাসার হুজুর তার স্টুডেন্টদের নিয়ে সেলফি তুলসে। এই ছবি একটা ট্রল পেজে দেয়া আর কিছু বিজ্ঞ মানুষের কমেন্ট :3 দেখেন, আপনি আছেন, নামাজ কালাম পড়েও আরেক মানুষের মা-বোন তুলে গালি দেন, অন্য মেয়ের সম্মানের মা-বাপ করে ফেলেন। পর্ণ দেখেন, ভালো কথা। এটা আমাদের ধর্মে গুনাহ। আপনি নিজে এতো কাজ করে নিজেরে নিয়ে ভাবেন নিজেরে মা* ডাকেন, নিজেরে গালি দেন।
আজ দুনিয়া যেমনে এগিয়েছে। হুজুরটা শুধু একটা নির্মল ছবি তুলেছে, স্মৃতিস্বরূপ। ‪#‎টেলিভিশন‬ টেলিফিল্ম দেখেছেন??? দেখলে বুঝবেন :)

শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬

তন্দ্রাবতীর সেই হাসিটা...

হাসি,মুচকি হাসি... প্রাণখুলে হাসি। কতো রকমের হাসি...! আনমনেও কাউকে ভেবে ভেবে খুশির হাসি। আমরা খুশিতে কেঁদে ফেলি। কিন্তু, দুঃখে হাসি না কেনও?? নাহহ...আজকাল আমরা সবাই অভিনয় পারি। তাহলে, তো এটা হাসি হতে পারে কি?? কি জানি! 
 
হাসির রং নীল... জানেন??? কারণ হাসিতে, কষ্ট লুকিয়ে থাকে। :)  <3
 
তন্দ্রা হাসতে পছন্দ করে
 রিকশা থেকে নেমেই তন্দ্রা খেয়াল করলো, আজ রিকশাওয়ালাটা কোনো উচ্যবাচ্য করলো না। তন্দ্রার মন আজ খুব খুশি খুশি লাগছে। কিন্তু তাও মন থেকে হাসতে পারছেনা।

অদ্ভুত মেয়েটা। “আচ্ছা, আমি এমন কেনও...???” ভাবতে না ভাবতেই একটা নেড়ি কুকুর সামনে এসে ঘুরতে শুরু করলো। যেদিকেই যাই, ঐটা পিছে পিছে আসছে। দৌড়ানোর কথা ভেবে ভয় লাগছেনা। আমার জামাটা কতো পছন্দের... :( আবারো আনমনে হাঁটা দিলাম। খোলা আকাশের নিচে, ফাঁকা রাস্তায়... কেউ আমাকে দেখেনা। আমি খুব করে হেঁটে যাই, নায়িকা হতে পারিনাই। তো কি হইছে?? নিজেই নিজেই অভিনয় করি। তবে, দেখলাম কিছুক্ষণ পর... দুই বুড়ো আঙ্কেল-আনটি রিকশা থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি জলদি নরমাল হয়ে গেলাম। রিকশাটাও ক্রস করে গেলো...
আমিও আমার এক্সপ্রেশনের ফুল-ঝুরি নিয়ে বিজি হইলাম। পাশেই এক ভাইয়া গলিতে উনার বান্ধবীকে খুব করে কি যেন বুজাচ্ছে। আমি উনাদেরও নকল করলাম। তন্দ্রা মনে মনে, “ এতো চেষ্টা করেও দিনের শেষটা আমার ভালো হয়না কেনও??” ম্যাথ পারিনা এখন। “মা, জানো তুমি থাকতে ম্যাথ অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। আর এখন এই ম্যাথেই পাশ করিনা। আমার বড্ড রাগ, আমি আর এইটা পড়বনা। তুমিতো আর পড়াতে বসে থাকোনা...”
 
 

তন্দ্রা হাসতেই থাকে। কিছু মানুষ এই হাসা নিয়ে কথা কওয়া-কওয়ি করে। যদি বলি, ভালো আছি। তাও মনে হয় এই কথা দিয়ে উনাদের তৃপ্তি আসেনা। খারাপ আছি বললে,বলে... কেন ভালোই তো দেখলাম। কেমন আছি জানতেই না চাইলে... ফরমালিটির জন্য জিজ্ঞেস করা???
তন্দ্রা আরও কিছুদূর হাঁটল।আমাদের গলির ভিতর এক বিশাল জমিদার বাড়ির মতন বাড়ি আছে। কতো ফলের গাছ। এক বাচ্চা রাস্তা থেকে আমের আঁটি ঐ বাড়ির সীমানাতে ছুঁড়ে মেরে খুব খুশি হচ্ছে। আমার না বাচ্চা দেখলেই মনটা আনন্দে ভরে যায়।

 
 
বাংলালিঙ্কের নাকি গ্রামীণের একটা এড ছিলো। একটা পুচকি অভিনয় করেছিলো। “মা,তুমি কি কিছু বুঝোনা।। তাও আমায় কেনো ফেলে গেলে...কেন মা???কেন??? :’(
বাসায় ফিরেই আবার একলা। কোথাও কেউ নেই... কেউ বুঝবেনা তন্দ্রার হাসি আর কান্নার মানে। তন্দ্রা তন্দ্রাই রয়ে যাবে।